Tuesday 4 September 2012

লোপার সঙ্গের সেই মেয়েটি...


ইন্টারনেটে সেক্স অফার করা ঢাকাই তরম্নণী লোপার বাসায় আরও এক মেয়ের উপস্থিতি ছিল। লোপার গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ হলেও অন্যজনের রঙ দুধে-আলতা। সাদা চোখে মেয়েটির বয়স ১২ বা ১৩ বছরের বেশি মনে হয় না। যদিও লোপার ভাষ্য-দু’জনের বয়সের পার্থক্য তেমন নেই। বাসায় কে কে থাকে-এ প্রশ্নে সোমবার লোপা জানিয়েছিল, বাসায় এক বান্ধবী আছে। সে-ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।  তবে মুখোমুখি বসা কথপোকথনে লোপা জানায়, ওর নাম সামিয়া আক্তার জুঁই। ইন্টারমিডিয়েট পড়তো। দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন সে। বাসা আমিনবাজারে।
 বাবার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। তারপরও কষ্টে-সৃষ্টে চলে যেতো তাদের সংসার। হঠাৎই ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে ওদের। ওর বড় ভাই গাড়ি চাপা পড়ে। ধার-দেনা করা অর্থে চিকিৎসায় প্রাণ রড়্গা হলেও অ্যাবনরমাল হয়ে যায়। অর্থ সঙ্কটে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় ওর। সংসারের ঘানি এসে পড়ে ওর ঘাড়ে। দরজা খোলা থাকায় চোখ চলে যায় মেয়েটির দিকে। মুগ্ধ করার মতো সুন্দরী সে। তার সামনে মোটা চালের এক থালা ভাত। আলুর কারির সঙ্গে এক খণ্ড মাছ। লোপাকে বলা হয়, আপনার আয়ের সঙ্গে এই মোটা চাল যায় না। সে জানায়, আয়টাই দেখছেন? প্রতি মাসেই বাসা পাল্টাতে হয়। ভাড়াটাও বেশি গুণতে হয়। ব্যাচেলার বাসা পাওয়া যায় না। একজন হাজব্যান্ড সাজাতে হয়। সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি মাসে মাসে তাকেও দিতে হয় বড় অঙ্কের টাকা। এরপরও আমাদের দু’জনের ভাগ্যটা ভাল। আমার জনি আর জুঁই’র দীপ্ত-দু’জনই ভাল। নির্দয় আচরণ করে না ওরা। জনি আমাকে কোচিং সেন্টার খোলার পথে সাহায্য করছে। জুঁইকেও তেমন কারও সঙ্গে মিশতে হয় না। দীপ্তই ওকে নিয়মিত টাকা-পয়সা দেয়। মাসের শুরম্নতে জুঁই ওই টাকা বাবা-মাকে দিয়ে আসে। ওর বাবা-মা জানে-ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি করে। লোপা জানায়, ইন্টারনেটে ওর-ও একটা একাউন্ট আছে। ওর ব্যক্তিগত পরিচয়ের সীমানাটা ছোট। এজন্য ও ফেসবুকে একাউন্ট খুলেছে। আমার বন্ধুই ওকে ওটা খুলে দিয়েছে। লোপার গল্প শোনা শেষে তার হাতে যখন পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় তখন সে অনত্মরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করে। লোপাকে বলা হয়, ওসবের দরকার নেই। নেটের ছবির সঙ্গে আপনার মিল নেই। এ পর্যায়ে লোপা নতুন গল্প শোনায়। বলে, জুঁইকে সঙ্গে রাখা শুরম্ন করার পর থেকে এ সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যারাই বাসায় আসে-তারাই বেঁকে বসে। চোখ চলে যায় ওর দিকে। এজন্যই ফোনে বলে দিই-বাসায় এলে টাকা দিতেই হবে। সেক্স ব্যাপার নয়। আমাকে চিনে ফেলার দামই পাঁচ হাজার। আর জুঁইয়ের দিকে নজর দিয়ে লাভ নেই। ওর গেস্ট ওর। হাজার চাইলেও আমি ওর গেস্টকে সঙ্গ দিই না। অন্যদিকে, লাখ টাকা দিয়ে চাইলেও আমার গেস্টকে ও এন্টারটেইন করে না। চাইলে ওর মোবাইল নম্বরটা নেয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। লোপার কথা কানে যায়, মন পড়ে থাকে জুঁইয়ের জন্য কিছু করার। মনে পড়ে, ক’বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র খদ্দের হয়ে এক বাসায় গিয়ে বিপদগ্রসত্ম এক মেয়েকে আইন-সালিশ কেন্দ্রের সহায়তা নিয়ে উদ্ধার করেছিল। জুঁইয়ের জন্য কি তেমন কিছু করা যায় না!

2 comments: