Tuesday 4 September 2012

দুবাইয়ে এক মাস আটকে রেখে বাংলাদেশী তরম্নণীকে ধর্ষণ


পরিবারকে স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখাতে চাকরির সন্ধানে নেমেছিল এসএন (নামের আদ্যক্ষর)। মধ্যপ্রাচ্যের সোনার হরিণের হাতছানিতে সে গিয়ে হাজির হয় ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে। এজেন্সির কর্মকর্তারা জানান, দুবাইয়ে চাকরি অনেকটা তৈরিই হয়ে আছে। মাসিক বেতন এক হাজার দিরহাম। সানন্দেই রাজি হয়ে যায় সে।
চোখে-মুখে উজ্জ্বল স্বপ্ন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে উড়াল দেয় ২৬ বছরের তরম্নণী এসএন। আবুধাবি বিমানবন্দরে তার জন্য অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশী তরম্নণ এমএম। রিক্রুটিং এজেন্সিই জানিয়ে দিয়েছিল, এমএম (নামের আদ্যক্ষর) তাকে নিয়ে যাবে বিমানবন্দর থেকে। ত্রিশ বছর বয়সী এমএম মেয়েটিকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যায় দুবাইর মোবাকাব্বাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটে নিয়েই এমএম প্রস্তাব দেয়, তাকে দেহ ব্যবসা করতে হবে দুবাইতে। শুরম্নটা সেই করতে চায় বলেও জানায়। মেয়েটি তাতে সম্মত না হলে শুরম্ন হয় নির্যাতন। বাংলাদেশী তরম্নণটি ছুরি দিয়ে মেয়েটিকে আঘাত করে এবং ধর্ষণ করে। পরে তাকে ওই ফ্ল্যাটে আটকে রাখে। প্রায় একমাস পর চাবি বাইরে রেখে তরম্নণটি ওয়াশরম্নমে গেলে মেয়েটি ঘর থেকে বের হয়ে পুলিশের আশ্রয় নেয়। গত ১১ই এপ্রিল দুবাই কোর্ট অব ইনসটেনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালতে দায়ের করা অভিযোগে মেয়েটি বলেছে, গত একমাস তাকে আটকে রেখে প্রতিদিন তিনবার করে ধর্ষণ করেছে বাংলাদেশী তরম্নণ এমএম। আদালত আগামী মাসে অভিযোগের শুনানির দিন ধার্য করেছে। উলেস্নখ্য, দুবাইতে চাকরি নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী তরম্নণীদের এই ধরনের পরিণতির খবর হরহামেশাই দুবাইর পত্রপত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়।

No comments:

Post a Comment