আমি যে গল্পটা বলবো আজ, সেটা আমার জীবনে দ্রুব সত্য | আমি H.S . পরীক্ষা দিয়ে আমার এক মাসির মেয়ের বাড়িতে বিয়ে বাড়ি ছিল বলে বেড়াতে গেলাম ,আমার সঙ্গে গিয়ে ছিল আমার মামার ছেলে ওমপ্রকাশ আমরা দুজন সকাল বেলাতে বেরহলাম আমরা দুজনে বাঁকুড়া পৌছে জানতে পারলাম আজ মাওবাদী বন্ধ অগত্য বাস নেই আমাদের পুরুলিয়া যাওয়া আর হলো না এটা ভাবলাম তাই আবার কলকাতা ফিরতে হবে এটা ভেবে মনটা একটু খারাপ হলো তখন ভাবলাম ট্রেন এ গেলে ভালো হত কিন্তূ পরে জানলাম পুরুলিয়াতে আর ট্রেন যাচ্ছে না মাওবাদী বন্ধের জন্য | যখন আবার কলকাতার বাসে চাপবো বলে ঠিক করলাম তখন দেখলাম আমাকে এক জন ভদ্রলোক ডাকছে আমি তার কাছে গেলাম সে বলল তোমরা বলছিলে যে পুরুলিয়া যাবে,তোমাদের বাস ২ ঘন্টা পর আছে কারণ সন্ধ্যে ৬ টা তে বন্ধ তুলে নেবে |এই কথাটা শুনে আমরা দুজন একটু সস্তি পেলাম তারপর রাত ১০ টা নাগাদ আমরা
মাসির মেয়ের বাড়ি পৌছালাম একপ্রতন্ত্য গ্রাম, গ্রামের শুরুতেই ওদের বাড়ি এই গ্রামে আমি ৬ বছর আগে এসেছিলাম আমার মা বার সাথে তাই বাড়ি চিনতে অসুবিধা হলো না |
আমার মাসির মেয়ের নাম সুলোচনা তার বর আর্মিতে কাজ করে তার এক মেয়ে আর এক ছেলে মেয়ের নাম সুমনা(১৪) আর ছেলের নাম বাপ্পা(১৮) |
আমরা গ্রাম ঘুরবো বলে ৪ দিন আগে এসেছিলাম আর তখনও জামাইবাবু ছুটি নিয়ে আসেনি….
বাপ্পা আমার পুরনো বন্ধু আর সোমু কে একবছর আগে মাসির বাড়িতে দুর্গাপূজার সময় একবার দেখেছিলাম | সুমনা কে সবাই সোমু বলে ডাকতো ,
তখন দেখলাম সে আমার দিকে তাকিয়ে খুব হাসছিল আমি তাতে বিরক্ত হচ্ছিলাম কারণ ভাবছিলাম আমাকে দেখে হাসছে কেন ? তার পর আর দেখা হয়নি আমি চলে এসেছিলাম কিন্তূ তার হাসি আমাকে ভাবতে বাধ্য করতো কেনো জানি না আমি ওকে পছন্দ করতে শুরু করি ওর বয়েস ১৩ হলেও দেখে মনে হত ১৭ কি ১৮ হবে | বাড়ি পৌছাতেই বাপ্পা আর সোমু বেরিয়ে এলো আমাদের দেখে খুব খুশি হলো |আমিও অত ক্লান্তির মধ্যে খুবই আনন্দ পেলাম এতদিন পর দেখা তাই ? সেদিন খুব ক্লান্ত ছিলাম বলে সুলোচনা দি আমাদের খাবার খেয়ে ঘুমাতে বললো | আমরা তাই করলাম আমি বাপ্পা আর ওম একটা রুম এ শুলাম আর সোমু আর দিদি অন্য রুমে শুলো |সেদিন একটু গল্প করে আমরা কখন ঘুমালাম বুঝতে পারি নি ,
No comments:
Post a Comment